জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের পদত্যাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ মোট ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলা বিভাগের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস জুলাই বিপ্লবে সরাসরি ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নেন ও স্বৈরাচারী খুনির দোসর হয়ে বিভিন্ন কলাম লেখেন। তিনি শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করেন ও ছাত্র আন্দোলন দমনে সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলেন। তাই বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ রকম একজন খুনির দোসর শিক্ষককে আর বিভাগে চায় না। অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার চান শিক্ষার্থীরা।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান সজীব বলেন, মিল্টন বিশ্বাস একজন খুুুনির দোসর। তাকে আমরা আমাদের বিভাগে চাই না। তিনি কখনো নিয়মিত ক্লাস নিতেন না ও বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতেন।
বিভাগের নজরুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অনেক কলাম লিখেছিলেন। তিনি স্বৈরাচারী খুনির দালাল ছিলেন।
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা নিজ বিভাগ সংস্কারের জন্য অন্যান্য দাবি তোলেন। সেখানে বিভাগের নানা সমস্যা তুলে ধরে দ্রুত সমাধান চেয়েছেন।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম কর্মস্থলে যোগদান করেন। এ সময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
বিষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের জন্য যারা নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই। আন্দোলনে আহত যারা এখনো হাসপাতালে আছে, তাদের প্রত্যাশা ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে সেই বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেছেন, ইচ্ছাকৃত কোনো অন্যায্য কাজ আমি করব না। তবে মানুষ হিসেবে ভুল-ত্রুটি হলে ধরিয়ে দেবেন। আমি নিজেকে সংশোধন করে নেব।
মন্তব্য করুন