‘ক্যাডার ক্যাডার ক্যাডার চাই, টেক্সটাইল ক্যাডার চাই’ স্লোগানে এবার মাঠে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা। স্বতন্ত্র টেক্সটাইল ক্যাডার চালু, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মঘণ্টা ও বেতন সংস্কার, বুটেক্স ক্যাম্পাস সম্প্রসারণসহ মোট ৫টি দাবিতে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শান্তিপূর্ণ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন তারা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৫টি দাবি হলো স্বতন্ত্র টেক্সটাইল ক্যাডার চালু করা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ন্যূনতম ৩০ হাজার করা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের দৈনিক ৮ কর্মঘণ্টাসহ ওভার টাইমের ক্ষেত্রে ঘণ্টাপ্রতি দ্বিগুণ হারে বেতন করা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্রে সপ্তাহে ২ দিন ছুটি বাস্তবায়ন ও বুটেক্সের ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ করা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল মেশিনারি ডিজাইন ও মেইনটেনেন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সেখ মো. মমিনুল আলম বলেন, টেক্সটাইল ক্যাডার বাস্তবায়নে আমরা অনেক আগে থেকে সরকারের বিভিন্ন মহলে আবেদন করেছি, কিন্তু বাস্তব কোনো ফলপ্রসূ রেজাল্ট পাইনি। তাই আমরা নতুন করে উদ্যোগ নিলাম যাতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের একটা স্বতন্ত্র ক্যাডার চালু হয়। সরকারি চাকরির বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন অপরিহার্য, কিন্তু এসব ক্ষেত্রে অন্যান্য সেক্টরের লোক দখল করে আছে। ক্যাডার চালু হলে আমাদের কাস্টমস, বস্ত্র অধিদপ্তর, শিল্প মন্ত্রাণালয়ে চাকরি হতে পারে। আশা করি সবাই এগিয়ে এলে টেক্সটাইল ক্যাডার বাস্তবায়নে সফল হবে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে টেক্সটাইল। টেক্সটাইল এবং বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক। মেইড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিং হয় মূলত টেক্সটাইল সেক্টরের মাধ্যমে। আমাদের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক দাবি গত সরকার পূরণ করেনি, এখন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার আমাদের যে স্বপ্ন, তা বাস্তবায়ন করতে হলে এ সেক্টরকে আরও উন্নত করতে হবে। সে জায়গাকে অধিক মজবুত করতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য স্বতন্ত্র ক্যাডার চালু করতে হবে।
তারা বলেন, আমাদের যে মূল দাবি টেক্সটাইলের স্বতন্ত্র ক্যাডার চালু করা এতে কারও দ্বিমত নেই। আমরা প্রশাসনের উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, যাতে তারা আমাদের দাবিগুলে মেনে নিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করে।
এ সময় তারা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মঘণ্টা নিয়ে বলেন, আমাদের চাকরিতে আট ঘণ্টা বলে নেওয়া হয়, পরে তা ১০-১২ ঘণ্টা হয়ে যায়, কিন্তু সেজন্য ওভারটাইম হিসেবে যে অর্থ দেওয়ার কথা তা ইঞ্জিনিয়াররা পান না।
মন্তব্য করুন