নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২ কোটি ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বাজেটের রাস্তার আরসিসি ঢালাই ও ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে আছে।
জানা যায়, গত জুন মাসে নোবিপ্রবির একাডেমিক ভবন ১ থেকে মেডিকেল সেন্টার পর্যন্ত নতুন করে আরসিসি রাস্তা নির্মাণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ড্রেনেজ সিস্টেম স্থাপনের কাজ শুরু হয়। তবে বিগত ৩ মাসে এ কাজের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি লক্ষ করা যায়নি।
অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা এবং ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্সেসের শিক্ষার্থী আদনান শাকিল কালবেলাকে জানান, আমার খুব ইচ্ছে ছিল এই রাস্তা হওয়ার পর বাসায় আর ঘুমাব না রাস্তায় ঘুমাব। মনে হবে কোটি টাকার উপর শুয়ে আছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমার ইচ্ছে আর পূরণ হবে না!
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিনা আফরিন কালবেলাকে জানান, অনেক আগে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হতে দেখলেও কাজ যেভাবে স্থগিত হয়ে আছে শেষ দেখবো বলে মনে হচ্ছে না। পাশাপাশি তিনি আরও জানান হাল্কা বৃষ্টিতেই এই রাস্তায় এখন পানি জমে যায়। এ ছাড়া রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ফলে এই রাস্তায় চলাফেরা করা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ।
নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আহমদ কালবেলাকে বলেন, ঈদুল আজহার বন্ধ, পেনশন নীতিমালা নিয়ে শিক্ষকদের কর্ম বিরতি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে রাস্তা সংস্করণ ও ড্রেনেজ সিস্টেম স্থাপনের কাজ শুরু করা হলেও তা আর চলমান রাখা সম্ভব হয় নি। খুব শীঘ্রই বন্ধ হওয়া কাজ চালু করার আশ্বাস দেন তিনি।
প্রধান প্রকৌশলী জামাল হোসাইন বলেন, একাডেমিক ভবন ১ থেকে মেডিকেল সেন্টার পর্যন্ত নতুন করে আরসিসি রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এতে প্রথম ধাপে ৬ ইঞ্চি বালি এবং তার ওপর ৪ ইঞ্চি জায়গায় ইটের খোয়া ব্যবহার করা হবে। বালি এবং ইটের খোয়ার ১০ ইঞ্চি লেভেল করার পর তার ওপর ৮ ইঞ্চির আরসিসি ঢালাই দেওয়া হবে, রাস্তার উচ্চতা সর্ব মোট ১৮ ইঞ্চি বাড়ানো হবে।
ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে তিনি জানান, রাস্তার একপাশ দিয়ে ১৪০০ ফিট মাস্টার ড্রেন করা হবে যা শান্তি নিকেতনের কড়ই তলা থেকে সংস্কার হওয়া রাস্তা হয়ে নোবিপ্রবির বাইরের খালের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। অবস্থান অনুযায়ী ড্রেনের গভীরতা ৩-৫.৫ ফিট এবং প্রস্থ হবে ৪ ফিট। পাশাপাশি ড্রেনের ওপর ৮০০ ফিট জায়গায় হাঁটার জন্য ফুটপাতের ব্যবস্থা করা হবে।
রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি এবং ড্রেনেজ সিস্টেমের ফলে কেন্দ্রীয় মাঠের পূর্বপাশ, অডিটরিয়াম বিল্ডিংয়ের উত্তর পাশ, একাডেমিক ভবন-২ এর পেছনে এবং কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের জলাবদ্ধতা দূর হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন