কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাবির সাবেক ভিসি মাকসুদ কামাল প্রশাসনের প্রতি ধিক্ সমাবেশ

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ধিক্ সমাবেশ। ছবি : কালবেলা
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ধিক্ সমাবেশ। ছবি : কালবেলা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত, ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা ও শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক হল ত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রশাসনের প্রতি ধিক্ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ আয়োজন করেন একদল শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন তুঙ্গে, যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছিল পুরো দেশব্যাপী তখন ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় সিন্ডিকেট। এই আদেশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে স্তিমিত করার অপচেষ্টা চালানোর দায়ে ঢাবির তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বিচার দাবি করছি।

তারা বলছেন, গত ১৭ জুলাই মাকসুদ কামাল প্রশাসনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করেছে স্বৈরাচারের পেটুয়া বাহিনী। অথচ এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

সমাবেশে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবিদ হাসান রাফি বলেন, আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৫ জুলাই যখন ছাত্রলীগ তাদের গুণ্ডাপান্ডা নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে নারী শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে তখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় নির্লজ্জ প্রশাসনকে নিরব ভূমিকায় দেখেছি। যখন আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা রক্তাক্ত হয়েছিল তখন মাকসুদ কামালের মতো নির্লজ্জ প্রশাসকরা দরজা লাগিয়ে বসে ছিল।

তিনি আরও বলেন, পরে ১৭ জুলাই ছিল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কলঙ্কিত দিন। যেদিন পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করেছিল। যখন আমরা হল থেকে ছাত্রলীগকে বের করে দিয়ে হলগুলোকে কলঙ্কমুক্ত করেছিলাম তার বিনিময়ে আমাদের হল ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল।

এ ছাড়া তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে তৎকালীন স্বৈরাচার অথর্ব প্রশাসন যেন কোনোভাবেই আর প্রশাসনে ফিরে না আসতে পারে।

আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েদুজ্জামান নুর আলভী বলেন, তারা কোনো প্রতিবাদ না করে এই হামলার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে এই হামলার বিরুদ্ধে সমর্থন দিয়েছিল। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে থাকা এই গোষ্ঠীর বিচার হওয়া দরকার।

সালমান শাহেদ বলেন, ভিসি মাকসুদ কামাল শুধু নয় প্রোভিসি, প্রক্টরসহ সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সেদিন সিন্ডিকেট মিটিংয়ের নামে প্রহসন করেছে এরা।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেফতাহুল মারুফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাকসুদ কামাল প্রশাসন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ইতিহাসের এক কলঙ্কিত ঘটনা উপহার দিয়েছিল সেই ১৭ জুলাইতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করার পরও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ আমরা দেখছি না। এটি আমাদের জন্য লজ্জার। আমরা এই স্বাধীন দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো স্বৈরাচারী প্রশাসককে আর দেখতে চাই না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চাকরি দিচ্ছে এসিআই, অভিজ্ঞতা ছাড়াও করা যাবে আবেদন

ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

২৪ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

ইতিহাসের এই দিনে যত স্মরণীয় ঘটনা

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন

নানা আয়োজনে সংবর্ধিত হলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা সায়েক এম রহমান

সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ জনগণ মানবে না : লায়ন ফারুক

চাঁদপুরের জাহাজে হতাহতদের তিনজনের বাড়ি ফরিদপুরে

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তদন্ত কমিশনে রয়েছেন যারা

১০

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন : অধ্যক্ষ ইউনুছ

১১

ঢাকায় আসবেন ইলন মাস্ক!

১২

আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ

১৩

জ্যোতি ও পিংকির সেঞ্চুরি

১৪

মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতে দুই সমর্থককে বহিষ্কার করল জামায়াত

১৫

আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজি, আটক ৫

১৬

ডিএফপির নতুন মহাপরিচালক খালেদা বেগম

১৭

সোনারগাঁয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষ, যুবক নিহত

১৮

নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে : হেলাল

১৯

স্ত্রী-ছেলের প্রতারণায় হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধ ছলেমান

২০
X