ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে দুটি নতুন হল তৈরির চিন্তা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকল নিয়মকানুন ও পদ্ধতি অনুসরণ করে এসব হল নির্মাণের কার্যক্রমে অগ্রসর হবে বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমন কিছু তথ্য অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা সঠিক নয় বলে জানা গেছে।
গতকাল রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ আবাসিকীকরণ ও প্রথমবর্ষ থেকেই বৈধ সিট দেওয়ার দাবিতে ভিসি চত্বরে একদল নারী শিক্ষার্থীর প্রতিবাদী অবস্থানের পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ বিকেলে তাদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা করেন। এতে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এই সভায় দুটি হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে বলে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা কালবেলাকে বলেন, আমরা হলগুলোকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সাজাতে চাচ্ছি। এটা যখন আমরা করছি তখন দেখা যাচ্ছে যে, কিছু কিছু শিক্ষার্থী সিট পায়নি বা তারা বাইরে ছিল। গত রবিবারের মতবিনিময়ের সময় তাদের (আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী) আমরা বলেছি যে, এটা প্রাথমিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের আগ পর্যন্ত তাদের একটু ব্যালেন্স করে থাকতে বলা হয়েছে। কারণ, তাদের অধিকাংশই বাইরে বা আত্মীয়স্বজনের বাসায় থাকে। এটা হচ্ছে আমাদের শর্টটাইম চিন্তাভাবনা।
তিনি বলেন, লংটাইম চিন্তাভাবনা হলো- আমরা আবাসিক সংকট নিরসনের জন্য আবাসিক হল নির্মাণের চিন্তা করছি। তবে দুটি হল নির্মাণ করা হবে এরকম কোন প্রতিশ্রুতি তাদের দেওয়া হয়নি। কারণ, এটা বাজেট ও জায়গা বরাদ্দসহ বিভিন্ন কিছুর ওপর নির্ভর করে। আমরা বলেছি, আমরা আবাসিক হল নির্মাণ করব তবে মেয়েদের জন্য দুটি হল নির্মাণের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। মেয়েদের দুইটি হলের কথা বলা হয়েছে এজন্য যে, যে পরিমাণ শিক্ষার্থী সে অনুযায়ী তাদের দুটি হল প্রয়োজন।
ড. সায়মা হক আরও বলেন, এখন একবারেই দুইটা হল তৈরি করা তো সম্ভব নয়। তবে এগুলো তৈরির জায়গা ও ফান্ডের বিষয়টি আমরা সিরিয়াসলি দেখছি। এটা অনেকাংশে বাস্তবতার ওপর নির্ভর করবে।
মন্তব্য করুন