জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষার্থীবান্ধব ও গবেষণানির্ভর বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার আহ্বান

‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা। ছবি : কালবেলা
‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা। ছবি : কালবেলা

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীবান্ধব ও গবেষণা নির্ভর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার গুণগত মানকে উন্নত করে চিন্তার জগতে সাড়া ফেলতে হবে। সব বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা দিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সেইফ গার্ড নিশ্চিত আইন প্রণয়ন করতে হবে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’- শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতির বাজারে আপনাদের এক একজন শ্রমিক তৈরি করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বিশ্ব বাজারের পণ্য হলে চলবে না। সত্যিকারের চিন্তা কাঠামোর পরিবর্তন এনে বুঝতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়ছি? এখানে জ্ঞান চর্চা ও বিকাশ হচ্ছে না। আপনাদের প্রশ্ন করতে হবে-যারা ক্ষমতায় থাকবেন।

এ ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক শাহ নিসতার জাহান কবির বলেন, আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব ও গবেষণানির্ভর বিশ্ববিদ্যালয় চাই। তবে সে পরিবেশ কীভাবে তৈরি হবে সেটাই মুখ্য বিষয়। অবশ্যই কোয়ালিটির ক্ষেত্রে কখনোই কম্প্রোমাইজ করা যাবেনা, বহিরাবিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ বিষয়ে খুবই সচেতন। উপাচার্যকে হতে হবে আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন, পড়ালেখা দিক থেকে যোগ্য, চাটুকারিতা কখনোই উপাচার্যের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।

আমাদের বিশ্বিবদ্যালয়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পতন ধরেছে। এ জন্য ছাত্রদের আন্দোলনে আমি কোন ভাইস চ্যান্সেলরকে দেখলাম না যে বলবে স্টপ। আমার শিক্ষার্থীদের বুকে গুলি চলবে না। আমি এমন ভিসি চাই, যার নিষ্ঠা, প্রজ্ঞা,পড়াশোনা ও গবেষণা আছে। বাইরে থেকে কেউ আসলেও কোনো সমস্যা নাই, যদি তিনি মানুষ হন।

ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে সেমিনারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ নিজার আহমেদ বলেন, শিক্ষক রাজনীতি আসলেই সমস্যা। বর্তমানে দাবি উঠেছে শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধ ও আগের সরকারের আমলে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার। কিন্তু এটা ভুল হবে। কারণ সবাইকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে। আবার যাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে, এটা কাম্য নয়।

অন্যদিকে ছাত্ররাজনীতি জটিল বিষয়। ১৮ বছর বয়সে ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ফলে তারা রাজনীতি করতে পারবে না, এটা ঠিক না। তবে রাজনীতির ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেন। এটাকে বলবো বিরাজনীতিকরণ। এর সমাধান হলো, যারা রাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন থাকবে, তারা ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করতে পারবে না। তবে বিভিন্ন ক্লাবভিত্তিক কাজ করতে পারে।

ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দীন আহমেদ বলেন, আমার এমন উপাচার্য চাই যিনি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক এক্সিলেন্স নিশ্চিত করবে। আমরা সবার মত ও পথকে সম্মান করেতে চাই।

তিনি আরও বলেন, যার ইচ্ছা বাউল গান করবে, যার ইচ্ছা কাওয়ালী করবে, যার ইচ্ছা প্রগতিশীলতার চর্চা করবে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তর্কের জায়গা। তর্কের মাধ্যমে একে অপরকে অবনত করবে। তাই আগামীদিনে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় চাই

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মতিঝিলে ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

ইজতেমা মাঠে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে কুমিল্লায় মহাসড়ক অবরোধ

গুলশানে বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার ১

গাজায় শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা পোপ ফ্রান্সিসের

শাহবাগে বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকদের বিক্ষোভ

‘ফ্রেন্ডলি ফায়ারে’ নিজেদের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল মার্কিন সেনারা

সন্দ্বীপবাসীর কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ করবে ফেরিঘাট : বিএনপি নেতা মিল্টন

বাড্ডায় ছিনতাই করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা ৩

চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করল সেই পাকিস্তানি জাহাজ

সংলাপে বক্তারা / গত ১৫ বছর গণমাধ্যম জনগণের কথা বলেনি

১০

‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন

১১

প্রশাসন ক্যাডারের ইয়াং অফিসার্স ফোরামের সভাপতি শুভ, সা. সম্পাদক জয়

১২

সাদপন্থি নেতা মুফতি মুআজ বিন নূর ৩ দিনের রিমান্ডে

১৩

চলাচলের রাস্তায় যুবলীগ নেতার সবজি চাষ

১৪

গাজা উপত্যকা এখন মানবতার কবরস্থান : জাতিসংঘ

১৫

ক্ষেপণাস্ত্র সমালোচনা / যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া জবাব দিল পাকিস্তান

১৬

গাজীপুরে বোতাম কারখানায় ভয়াবহ আগুন

১৭

মেলবোর্ন সাংবাদিকের সঙ্গে বাদানুবাদে কোহলিকে ঘিরে সমালোচনার ঝড়

১৮

দেশের বাজারে এলো পেট্রোনাস নেক্সটা 

১৯

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্ট বিশ্বসেরা 

২০
X