শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও বন্যাকবলিত এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত মেরামত করে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও আহতদের সুচিকিৎসা এবং পুনর্বাসনসহ ৪ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি সালমান রাহাত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সৌরভ।
সভাপতির বক্তব্যে মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই আমরা ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছি না। আমরা সীমান্তে আর কোনো হত্যা দেখতে চাই না। ফেলানী, স্বর্ণা দাস বা জয়ন্তদের মতো আর কেউ যেন সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয় তার জন্য সরকারকে ভারত সরকারের প্রতি চাপ দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণসভা আয়োজনে নাকি ৫ কোটি টাকা খরচ হবে। স্মরণসভা আয়োজনে ৫ কোটি টাকা খরচ হয়? এ ৫ কোটি দিয়ে শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করার দাবি আমরা জানাই। একই সঙ্গে যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত উন্নত চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন করতে হবে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের সব হোতাদের দ্রুত বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।
দেশের শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে রেজা বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর দেশজুড়ে নৈরাজ্য বিরাজ করছে। সরকার এখনো পর্যন্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। তাদের এই ব্যর্থতায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজার ভাঙা, সাম্প্রদায়িক হামলা, নারীদের হেনস্তাসহ নানা ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
মাহির শাহরিয়ার রেজা আরও বলেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়িসহ দেশের বেশকিছু এলাকা। সব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আক্রান্ত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত সংস্কার করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করতে হবে। আমরা আশা করব, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবে। স্বেচ্ছাচারী আচরণ না করে বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক, শোষণ-বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মাণের প্রাথমিক কাজ সম্পাদন করে অতিদ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করার দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন