ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্ববর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন সরকার সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিকেল ১৩ (১) অনুযায়ী প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে- তার মেয়াদকাল হবে যোগদানের তারিখ থেকে ৪ বছর। তিনি সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করবেন। বিধি অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ও আইন দ্বারা নির্ধারিত ও উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও আচার্য চাইলে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
ড. মামুন আহমেদ জাপানের নিহন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন থেকে ভাইরোলজিতে পিএইচডি করেছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুবাদ ও ক্লিনিক্যাল ভাইরোলজিতে পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ করেছেন। ড. মামুন টমাস ই. স্টারজল ট্রান্সপ্লান্ট ইনস্টিটিউট, পিটসবার্গ এবং ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কা, লিঙ্কন, ইউএসএ-তে গবেষণা সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। ড. মামুন সাধারণ বায়োকেমিস্ট্রি কোর্স, বিশেষ করে স্নাতক স্তরে ভাইরোলজি এবং স্নাতকোত্তর স্তরে মলিকুলার ডায়াগনস্টিকস শেখান। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমকক্ষ-পর্যালোচিত জার্নালে প্রায় ৫৩টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। ডা. মামুন আণবিক ভাইরোলজি এবং ভাইরাল আণবিক ডায়াগনস্টিকসের অনুবাদমূলক গবেষণায় গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার গবেষণার মূল ফোকাস হল আণবিক ডায়গনিস্টিক পরীক্ষা তৈরি করা এবং ক্লিনিকাল ভাইরোলজির ক্ষেত্রে সেগুলি প্রয়োগ করা। ড. মামুনের দুই দশকেরও বেশি ক্লিনিকাল অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা রয়েছে নতুন ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি তৈরি ও কাস্টমাইজ করা এবং গবেষণার পরিবেশ থেকে ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া। কোভিড-১৯ মহামারীর শুরু থেকেই তিনি বাংলাদেশে SARS-CoV-2 মোকাবেলায় প্রথম সারিতে ছিলেন। ড. মামুন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তিন মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের নির্বাচিত সদস্যও।
মন্তব্য করুন