ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সব ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপ’ ও ‘অপকর্মের’ ন্যায়বিচার এবং সত্য সংরক্ষণে দুটি সেল গঠন করেছে ছাত্রদল। এগুলো হলো- ‘শিক্ষার্থী নির্যাতনবিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেল’ ও ‘আইনি সহায়তা সেল’।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদল দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধ কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রলম্বিত করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও অন্যান্য বিরোধীমতের সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আদিম যুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত নির্যাতনের মাধ্যমে আইন ও মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একইসঙ্গে পতিত ফ্যাসিবাদী এই শক্তি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে চরমভাবে দলীয়করণ করে এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়াকেও এগিয়ে নিতে দেয়নি। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই সব শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনাবলীর বিষয়ে ন্যায়বিচার ও সত্য ইতিহাস সংরক্ষণের তাগিদে একটি ‘শিক্ষার্থী নির্যাতনবিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেল’ এবং একটি ‘আইনি সহায়তা সেল’ গঠন করেছে।
শিক্ষার্থী নির্যাতন বিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেলের সদস্যরা হলেন-আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, এ বি এম ইজাজুল কবির রুয়েল, মনজুরুল আলম রিয়াদ, খোরশেদ আলম সোহেল, আরিফুল ইসলাম, গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও নাহিদুজ্জামান শিপন।
আইনি সহায়তা সেলের সদস্যরা হলেন- মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, এইচ এম জাহিদুল ইসলাম, মো. আল আমিন, মো. রফিকুল ইসলাম হিমেল, মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী ও এস এম সাইফ কাদের রুবাব।
দুটি সেলের সদস্যদের কাজ নিয়ে বলা হয়, সেলের সদস্যরা ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া বিরোধীমত ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করবে। এই বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের জন্য হলে হলে টর্চার সেল গঠন করেছিল এবং সেখানে প্রতিনিয়ত মুক্ত মতকে বাধাগ্রস্ত করতে ও বিরোধী মত দমনে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
তিনি বলেন, সেসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই এই সেল গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের এসব নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করে জাতির সামনে উন্মুক্ত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ন্যূনতম সুযোগ কেউ না পায়।
মন্তব্য করুন