আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক, দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইআবি) উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এস এম এহসান কবীরের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যের শিকার শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বছিলাস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দুই মেয়াদে কোষাধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পাওয়া দুর্নীতিবাজ, একইসাথে দুইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল কাজের সিদ্ধান্তের বিরোধিতাকারী, ৪০ লাখ টাকার এফডিআর কেলেংকারিতে জড়িত দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ও পলাতক কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।
তারা আরও বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের নামে ইউজিসিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেগুলোর তদন্ত চলছে। এর মাঝেই সরকার পতনের পরে উপাচার্য পদত্যাগ করলেও নানান দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত উপউপাচার্য পদত্যাগ করছেন না। তিনি অসুস্থতার দোহাই দিয়ে সবকিছু এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানাই।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক কালবেলাকে বলেন, কোষাধ্যক্ষ ক্যাম্পাসে না আসলেও নিজের চাকরি বাঁচাতে সচিবালয়ে ঘোরাঘুরি করছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। আমরা তাকে কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে ফিরতে দিব না। তাকে পদত্যাগ করতে হবে। এছাড়া মাদ্রাসাগুলো ধ্বংসের কারিগর উপ-উপাচার্যকেও দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। নইলে আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসব না।
মানববন্ধন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার নিরসনের জন্য অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানানো হয়।
গত ৫ আগষ্টের পরে বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সারা দেশের ১ হাজার ৫০০ ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা স্থবির হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে সঙ্কট নিরসনের আহ্বান জানানো হয়।
মন্তব্য করুন