ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে রেজিস্টার্ড দোকান ব্যতীত অবৈধ ভাসমান দোকানগুলো উচ্ছেদে অভিযান কর্মসূচি শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মাইকিং করে দোকানিদের সতর্ক করে দেওয়ার পর মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী প্রক্টরের উপস্তিতিতে প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিমের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা টিএসসি, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও শিববাড়ি এলাকাসহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য অবৈধ দোকানগুলো তুলে দেন।
মাহবুব তালুকদার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, পরিচ্ছন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রক্টোরিয়াল টিমের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালত এরিয়া থেকে মাদক এবং অবৈধ দোকানসমূহ উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তবে প্রক্টরিয়াল বডি ও শিক্ষার্থীদের এই উচ্ছেদ অভিযানের একপর্যায়ে বাম সংগঠনের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে রেদওয়ান ইসলাম রানা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ভাসমান দোকান ও ভাসমান মানুষগুলো প্রক্টর স্যারের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বাঁধা দিয়েছে। তাদের কারও পরিচয় জানতে পারিনি।
ঢাবি শিক্ষার্থী রিফাত আহমেদ বলেন, ভাসমান দোকান ও ভাসমান মানুষগুলো প্রক্টর স্যারের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চলছিল তখন সেখানে কয়েকজন জন লোক এসে কেনো উচ্ছেদ করা হচ্ছে তার জবাব চাইল। তাদের দাবি, টিএসসির দোকানগুলো নাকি অবৈধ নয়। এজন্য তারা চাচ্ছিল যে দোকানগুলো থাকুক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মুহা. রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনের বাইরে যে অবৈধ দোকানগুলো আছে সেগুলো উচ্ছেদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্রমাগত দাবি জানিয়ে আসছিল। সেজন্য সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মাইকিং করে বলে দিয়েছিলাম অবৈধ দোকানগুলো তুলে নেওয়ার জন্য। এর নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। তখন আমরা কয়েকজন সহকারী প্রক্টরসহ স্টেট ম্যানেজারও উপস্থিত ছিলেন। এরপর (মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গিয়ে দেখি সেগুলো আগের মতোই আছে। তখন সেসব দোকানিকে তাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কিছু ভাঙচুর বা জব্দ করা হয়নি। রাতে আবার প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিম টহল দিবে, তখনো কোনো অবৈধ দোকান থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তবে টিএসসির পায়রা চত্বরের কিছু দোকান রয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়নি। তারা বিভিন্ন সময়ে না কি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন করেছে, সেজন্য আগামীকাল সকালে প্রক্টর অফিসে তাদের ডাকা হয়েছে। তাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাম সংগঠনের ওরা এসে আমাদের সঙ্গে ভালোভাবেই কথা বলেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড দোকানের বাইরে তারা আরও কিছু দোকান রেজিস্ট্রার্ড দোকান বলে দাবি করেছে। তবে কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি। তখন আমরা বলেছি, কেউ দোকান করতে চাইলে আবেদন দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমতি দিলে দোকান করতে পারবে। এর বাইরে কিছুর সুযোগ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, আজ প্রক্টরিয়াল বডি ক্যাম্পাসের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে পায়রা চত্বরের কিছু দোকানিকে আগামীকাল প্রক্টর অফিসে ডাকা হয়েছে। তাদের সাথে কথা বলে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন