চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শান ও ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চবি শাখার উদ্যোগে ‘নবী বন্দনা ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়ে চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মেতে ওঠে পুরো শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুজিবুর রহমান তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোমুগ্ধের মতো এই আয়োজন উপভোগ করেছি। ইতোপূর্বে এমন চমৎকার আয়োজন ক্যাম্পাসে কখনো দেখিনি। তবে কয়েক দিন আগেও কাওয়ালী সন্ধ্যা হয়েছে। সেখানেও হাজারো শিক্ষার্থীর ঢল ছিল। ইসলামি সংস্কৃতিকে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দিতে এ রকম আয়োজনের বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আরিফ রাব্বানী ঈসা জানান, ক্যাম্পাসে এতদিন ধরে অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে আসছিল। কিন্তু এখন স্বাধীনতা-পরবর্তী ক্যাম্পাসে আমরা মন খুলে ইসলামি সংস্কৃতির চর্চা করতে পারছি। ছাত্রলীগের লেজুড়বৃত্তি করা রাজনীতির কারণে এতদিন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা ভয়ে থাকত। কিন্তু এখন আর ভয় নয়, ইসলাম ও ইসলামি সংস্কৃতি চর্চায় আমরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করব।
হাটহাজারী থেকে আসা এক কলেজ শিক্ষার্থী জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমার জন্য একটা আবেগের জায়গা। প্রতি সপ্তাহে এখানে ঘুরতে আসি। তবে আজ এসেছি ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা দেখার জন্য। আমি খুবই আনন্দিত এ অনুষ্ঠানে এসে।
গাউসিয়া কমিটি চবি শাখার আয়োজকরা জানান, চলছে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ঈদে মিলাদুন্নাবীর মাস রবিউল আওয়াল। রাসুলের শানে ও আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ভাইদের স্মরণে এ আয়োজন করেছি। আমরা চাই অপসংস্কৃতির চর্চা থেকে বেরিয়ে এসে যেন শিক্ষার্থীরা নবী রাসুল ও ইসলামি সংগীত চর্চায় অভ্যস্ত হয়।
মন্তব্য করুন