বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ক্যাম্পাসে এতদিন যে রাজনীতির চর্চা হয়ে এসেছে সেটি ছিল লেজুড়বৃত্তিক। কিন্তু আমরা এমন রাজনীতি চাই যার দ্বারা ছাত্র, সমাজ এবং দেশের মানুষ উপকৃত হবে। ছাত্র রাজনীতি ছাড়া আমরা আমাদের আধিকার আদায় করতে পারব না।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, আমরা যদি সুস্থ ধারার রাজনীতি না করি তাহলে আরেকটি ফ্যাসিস্টের গোড়াপত্তন হবে। আমাদের গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ প্রচলিত মতবাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মতবাদ তৈরি করতে হবে। তার জন্য আমাদের চব্বিশের আন্দোলনকারী প্রত্যেককেই দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান তৈরি হয়েছে ৭১ সালের পূর্বে আওয়ামী লীগের মতো করে। যেটি সর্বজনীন হয়নি। এতে ১৯৭১ সালের চেতনার প্রতিফলন হয়নি, হয়েছে ৭০ এর নির্বাচনে দেওয়া আওয়ামী লীগের দলীয় এজেন্ডার প্রতিফলন। কিন্তু চব্বিশের আন্দোলন পরবর্তী সংবিধান সার্বজনীন করতে চাই। এখানে দেশের নাগরিকদের চাহিদার প্রতিফলন ঘটাতে চাই।
কেন্দীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আজকের যে ক্যাম্পাস আমরা দেখতে পাচ্ছি, এইরকম পরিবেশ আগে কখনো দেখতে পাইনি। আমরা ফ্যাসিস্টদের বিতাড়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। এখন রাষ্ট্র গঠনেও আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করব। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে আমরা প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলব।
রাফি আরও বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী ঢোকার পায়তারা করছে। এত বড় একটা আন্দোলনের পর এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছে নতুন কোনো দুসরদের রাজনীতি করার জন্য নয়। আজকে যারা আমাদের মাঝে ফাটল সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তাদের আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করব।
মন্তব্য করুন