জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদে বিভাগ সংযোগ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুই অনুষদের ১৬টি বিভাগে এ কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের মধ্য থেকেই উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিভাগ সংযোগ কর্মসূচি পালিত হয়।
শহীদ মিনারের সামনে কর্মসূচির সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। তিনি বলেন, বিগত উনিশ বছর জবি বঞ্চিত হয়েছে। বাইরের উপাচার্যরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের মনে করেন না। একটা গেট পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নাই। এবার জবির উপাচার্য জবির শিক্ষকগণের মধ্য থেকেই দিতে হবে। বাহিরের উপাচার্য জবি পরিবার মেনে নিবে না। বাহির থেকে ভিসি আসলে গেট লক কর্মসূচি চলবে।
বিভাগ সংযোগ চলাকালে ইংরেজি বিভাগের ১৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বলেন, আমাদের এখন একটাই দাবি, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর থেকে ভিসি চাই। এতদিন ঢাবির ভিসি নিয়োগ দিয়ে আমরা আমাদের ক্যাম্পাস বা শিক্ষাগত মানের কোনো উন্নতি করতে পারি নাই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি আসলে সে জগন্নাথের পালস বুঝতে পারবে। আমাদের দাবি সহজে আমরা পূরণ করে নিতে পারবো। সর্বোপরি আমরা এমন একজন ভিসি চাই যিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হবেন এবং শিক্ষার্থীবান্ধব হবেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের খাইরুল ইসলাম স্বাধীন বলেন, জবির কাঠামোগত বিষয় অন্যান্য বিষয়গুলো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি হলে তিনি অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো দ্রুত অনুধাবন করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন।
জবি ভিসি আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আজ কলা ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোতে সংযোগ চলবে। আগামীকাল সোমবার বিজনেস ফ্যাকাল্টির বিভাগগুলোতে, আগামী বুধবার সায়েন্স ফ্যাকাল্টির বিভাগগুলোতে সংযোগ করা হবে। বৃহস্পতিবার অবস্থান কর্মসূচি। আমরা বাহিরের উপাচার্য মেনে নিব না।
এরপর সম্মিলিতভাবে রাষ্ট্র বিজ্ঞান, অর্থনীতি, সমাজকর্ম, ইসলামিক স্টাডিজ, দর্শন ও ইংরেজি বিভাগে সংযোগ করা হয়। সংযোগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদ, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু লায়েক, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মেজবাউল আলম সওদাগর। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার জিয়াদুর রহমান বলেন,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক যোগ্য শিক্ষক আছেন। যারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারী পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার একটি দাবিতে একত্রিত হয়েছি যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যিনি হবেন তাকে অবশ্যই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে আমরা কেউ মেনে নিব না।
মন্তব্য করুন