পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের এক কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মো. অনিক খান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুর রহমান ইমনের অনুসারী ছিলেন এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বন্ধুরা জানান, শনিবার ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত ভাইবা পরীক্ষা ছিল। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তারা তিন বন্ধু ভাইবা শেষ করে বিভাগ থেকে বের হচ্ছিলেন। একাডেমিক ভবন থেকে বের হয়ে এলে দুটি মোটরসাইকেল এসে অনিককে তুলে নিয়ে যান।
এরপর থেকে অনিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অনিকের বন্ধু আসিফ বলেন, আমরা তিনজন একসঙ্গে বের হয়ে একাডেমিক ভবনের নিচে আসি। তখন দুটি মোটরসাইকেল এসে অনিককে একটা মোটরসাইকেলে তুলে নেন। মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। মোটরসাইকেলে কে বা কারা ছিল, তাদের আমরা চিহ্নিত করতে পারিনি। তবে অনিককে তুলে নেওয়ার পর থেকে তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। আমরা তাকে নিয়ে চিন্তিত।
এ বিষয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আমরা ওর বিষয়টি শুনেছি। আমরা তাকে খোঁজ করার চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা ওর কোনো খোঁজ পাইনি।
গত শুক্রবার রাতে অনিক খানকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে অ্যানোনিমাস পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২১২নং রুমের একটি সিটকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা নাইমুর নাহিদ ইমন, অনিক খান এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ হাসানের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ করেন।