চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক পূর্বদেশ ও চট্টগ্রাম খবর পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি শাহরিয়াজ মোহাম্মদের ওপর হামলার ঘটনায় চবি শাখা ছাত্রলীগের ১১ কর্মীসহ ১৫ অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত সকলেই শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপের নেতাকর্মী।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাহরিয়াজ মোহাম্মদ বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আকিব জাভেদ, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এম, ফয়সাল প্রকাশ ফয়সাল সরকার, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ।
ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী সৌরভ ভূঁইয়া, আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও ইয়াছিন আরফাত, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী তানভির আলম তুষার, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মামুন মিয়া, ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী অনুপ সরকার আকাশ।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মাহিন রুবেল ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ইসহাক আলম ফরহাদসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই রাত পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মারধরের শিকার হন ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক। এ সময় হামলাকারীরা পেছন দিক এসে প্রথমে মুখে ও মাথায় কাপড় পেঁচিয়ে উপর্যুপরি মারধর করতে থাকে। ঘটনাস্থলে থাকা অন্যান্য সাংবাদিকেরা আহত অবস্থায় শাহরিয়াজকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।
সাংবাদিক শাহরিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধ ঘোষণা করার পরও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলে অবস্থান করছিল। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সে কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা করে।
তিনি বলেন, তারা পেছন দিক থেকে এসে মাথায় ও মুখে কাপড় পেঁচিয়ে আমাকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় আমি হাটহাজারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
মামলার বিষয়ে হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) মো. নুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলার তদন্ত হবে।
মন্তব্য করুন