জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শীর্ষ দুই পদের নিয়োগে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে বামপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের’ বিরুদ্ধে। উপাচার্য ও উপউপাচার্য (প্রশাসন) এ দুই পদে সংগঠনটি নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর বিষয়ে নিশ্চয়তা পেতে গত ২৬ দিন ধরে নিয়োগ আটকে রেখেছে বলেও জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদুদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে শিক্ষক নেটওয়ার্কের নেতারা একাধিক বৈঠক করেছেন। এ ছাড়া আসিফ নজরুলের কাছেও তারা নিজেদের চাহিদার কথা তুলে ধরেছেন।
সূত্রটি আরও জানান, সর্বশেষ উপউপাচার্য (প্রশাসন) পদটি তাদের পছন্দানুযায়ী প্রার্থী নিয়োগের আশ্বাস পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এ পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাইদ ফেরদৌস নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।
এর আগে, গত ৩১ আগস্ট রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবির লিয়াজোঁ কমিটি সদস্যদের নিয়ে ছাত্র উপদেষ্টাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও শিক্ষক নেটওয়ার্কের তদবিরের বিষয়টি উঠে আসে। তবে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গবেষক ও দক্ষ প্রশাসক নিয়োগের দাবি উঠে আসে।
বৈঠকে উপস্থিত এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা কেমন প্রশাসক চাই এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টাদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা ছিল। সেখানে আমরা শিক্ষার্থীদের চাহিদাকে তুলে ধরি। তখন উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে শিক্ষক নেটওয়ার্কের তদবিরের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়। তখন আমরা নিরপেক্ষ ও দক্ষ প্রশাসক নিয়োগের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান তুলে ধরি।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও শিক্ষক নেটওয়ার্কের তদবিরের কারণে বিষয়টি সম্পন্ন করতে দেরি হচ্ছে।
তবে তদবিরের বিষয়টি অস্বীকার করে অধ্যাপক সাইদ ফেরদৌস বলেন, ‘রোববার (১ সেপ্টেম্বর) আমরা শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেছি। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। নিয়োগের জন্য গো ধরার মতো কিছুই সেখানে হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত কিছু বলতে পারবো না। শিক্ষা উপদেষ্টা যেহেতু তাদেরই বিশ্ববিদ্যালয়ের, তারা তার সঙ্গে কথা বলতে পারে। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগের জন্য আমরা কোনো তদবির করিনি। আমাকে নিয়োগ দেওয়া হবে কি না সেটাও জানি না।’
মন্তব্য করুন