দীর্ঘ ২ মাস পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সব অনুষদে ক্লাস শুরু হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ফের শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অনুষদে ক্লাস করতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বিভিন্ন অনুষদের ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সরেজমিন দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত সন্তোষজনক। দীর্ঘ বিরতির পর ক্লাসে ফিরতে পেরে তারা ভীষণ আনন্দিত।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তারা শিক্ষার মান উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাগুলো পূরণের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে যেন একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হয়। শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশা করে, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে এবং তাদের ন্যায্য অধিকারগুলো রক্ষা করা হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এবং শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ছাত্রকল্যাণমূলক কার্যক্রমগুলোকে আরও জোরদার করা হবে।
এছাড়াও, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তারা। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, সরাসরি ক্লাসে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা পড়াশোনায় নতুন উদ্যম ও আগ্রহ ফিরে পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের আজকে উপস্থিতি ভালো ছিল। তারা আবার ক্লাসে ফিরেছে দেখে ভালো লাগলো। শিক্ষার্থীরা একটি সংকটময় সময় পার করে ক্যাম্পাসে এসেছে। এখনই পরীক্ষা শুরু হবে না। আমরা তাদের সময় দিতে চাই। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে থাকুক এবং নিজেদের যখন মানিয়ে নেবে তখন ডিন কাউন্সিলের মিটিংয়ে পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।