আন্তর্জাতিক নদীতে ভারতের বাঁধ নির্মাণ, ইচ্ছেমতো পানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাংলাদেশে বন্যা ও নদীর নাব্যতা হ্রাসবৃদ্ধিতে প্রভাব খাটানোর প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার ভারতের ডম্বুর বাঁধ অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দিয়েছে 'ইনকিলাব মঞ্চ' নামে একটি প্ল্যাটফর্ম।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে ইনকিলাব মঞ্চের ‘গণধিক্কার ও ভাঙ্গার গান’ শীর্ষক এক প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় এ ঘোষণা দেন প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী।
তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার সকাল ৯টায় ঢাকার শাহবাগ থেকে ১০টি ট্রাক নিয়ে আমরা ভারতের ডম্বুর বাঁধ অভিমুখে লংমার্চ করব।
‘গণধিক্কার ও ভাঙ্গার গান’ অনুষ্ঠানে আগ্রাসনবিরোধী গান, কবিতাসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পরিবেশিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেড়ে ওঠা জনপ্রিয় র্যাপ সংগীতশিল্পী মাহমুদ হাসান তাবীবসহ জনপ্রিয় অনেক ব্যান্ড ও শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা তুলে ধরেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা ‘ফেলানির ভাই দিচ্ছে ডাক, নদীর খুনি নিপাত যাক’, ‘সোনিয়া আর গেরুয়া মোদি, গুম করেছে আমার নদী’, ‘খুনি ভারতের নদীর বাঁধ, বাংলাদেশের মরণ ফাঁদ’, ‘তিস্তা টিপাই ফারাক্কা, তোল রে আওয়াজ দে ধাক্কা’, ‘ইন্তিফাদা অ্যাগেইনস্ট ইন্ডিয়া’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
‘পাশাপাশি দিল্লি না ঢাকা ঢাকা’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘সফল করো করতে হবে, লংমার্চ লংমার্চ’ ইত্যাদি সংবলিত স্লোগানও দিতে দেখা যায় তাদের।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী বলেন, এখনো একজন আমেরিকা এবং আরেকজন ভারত থেকে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। এই দেশের ছাত্র-জনতা কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে কখনো মাথা নত করে না। আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ দিয়ে আবার সেগুলো ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে অন্য দেশে সংকট সৃষ্টির অধিকার কারও নেই।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা বলেন, আমরা ১৯৫২, ৬৯, ৭১ এবং সর্বশেষ ২৪-এ জুলাই মুভমেন্টের মাধ্যমে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। আমাদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, শাহাদাত বরণ করেছেন আমরা তাদের কখনো ভুলব না।
ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বাংলাদেশের প্রথম শহীদ আবরার ফাহাদের চেতনাকে ধারণ করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কারও দাসত্ব মেনে নেব না। অনেক একাডেমিশিয়ান বলতে চান এই বন্যা প্রাকৃতিক। আমরা খুব শিগগিরই প্রেস ক্লাবে একটা সেমিনার করে একাডেমিকভাবেও তাদের প্রমাণ করে দেব- এ বন্যা রাজনৈতিক বন্যা।