খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের ১৫ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার পপি (২৮) কে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পপি হত্যার বিভীষিকাময় বর্ণনা দিতে গিয়ে তার বড় ভাই মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে ঘুমের মধ্যে হাতের আঙুল ভেঙে দেওয়া হয়। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। পরে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়।
গত সোমবার (২৬ আগস্ট) নির্মমভাবে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মো. মনিরুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পপির অপরাধ ছিল যে সে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিল। প্রায়ই সে অসুস্থ থাকত। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার কন্যা সন্তান এবং অসুস্থতার জন্য তাকে দোষারোপ করত। যৌতুকের জন্য কয়েকবার মারধরের শিকার হয়েছে সে।
তিনি জানান, পুলিশের তদন্তে পপির শাশুড়ি স্বীকার করেন যে তিনি একাই হত্যা করেছেন। তবে এটা সম্ভব নয়, এর সঙ্গে পরিবারের অনেকে জড়িত। পপির মৃত্যু নিয়ে পুলিশি তদন্ত চলছে এবং বিস্তারিত তথ্য জানতে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। তার সাড়ে পাঁচ বছরের একটি মেয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে গলায় দাগ ও খামচি আঁচড় পাওয়া গেছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মির্জাপুর টাঙ্গাইল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, আমরা এখনো মামলা গ্রহণ করিনি। উপরের স্যারদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।