অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বিপাকে ফেলতে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্য।
সোমবার (২৬ আগস্ট) চবির নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্যের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের ফেনী নোয়াখালী অঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে দেশের সব মানুষ যখন নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে সাহায্য করে যাচ্ছেন, তখন ফ্যাসিবাদের দোসররা অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বিপাকে ফেলতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করার ফলে ছাত্র আন্দোলনের যে প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে, সেটিকে প্রতিহত করতে এবং বিজয়ের সুফলকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হিসাবে দাবী আদায়ের নামে বিভিন্ন সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ভয়ঙ্কর সব ষড়যন্ত্রে মেতেছে। কলেজ ছাত্রদেরকে সচিবালয়ে ঢুকিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করার চেষ্টা সফল করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সবশেষ রোববার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে আনসার সদস্যরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্ঠাসহ, কর্মকর্তাদের জিম্মী করেছে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর উপর্যুপরি হামলা চালিয়ে তাদেরকে গুরুতর আহত করেছে।
এরইমধ্যে সোমবার আবার শাহবাগে রিকশাচালকরা ইঞ্জিনচালিত রিকশা বন্ধের আন্দোলনে নেমেছে এবং মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) থেকে পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি এবং বিআরই’র চাকরিজীবীরা গণছুটির ঘোষণাে দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্য এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দাবি আদায়ের নামে বাংলোদেশে সফল গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী স্থিতিশীলতাকে বাধাগ্রস্থ করার এমন প্রচেষ্টাকে শিক্ষক ঐক্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিবৃতি প্রদানকারীদের মধ্যে ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. অধ্যাপক ড. মো: আবদুল মান্নান দর্শন, আধুনিক ভাষার অধ্যাপক ইব্রাহিম হোসেন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী, ইন্সটিটিউট অব ফরেস্ট্রির অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নেছারুল করিমসহ ৭৫ জনেরও বেশি শিক্ষক রয়েছে।