রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ মামলা না করায় তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে এ ঘটনা ঘটে।
দুই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মাশরাফি মাহমুদ ও নাফিস সাদমান। তারা রুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ আগস্ট রুয়েটের চারটি আবাসিক হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান চালায়। চারটি হল থেকে মাদকসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ছাত্রলীগ কর্মী মাশরাফির কক্ষেও অভিযান চালিয়ে সেখানে নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়ায় কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
রোববার সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন, মাশরাফি হলের ৫৩৮ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে একই বিভাগের নাফিস সাদমানও আছেন। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের অবরুদ্ধ করে রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে ডেকে শাস্তি দাবি করেন। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ওই দুজনকে মতিহার থানায় নিয়ে যায়।
মতিহার থানার সামনে রাতে আবার শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন, পুরকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক নাফিস সাদমানকে ছাড়াতে থানায় গিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিও জানান অন্য শিক্ষার্থীরা। তারা এই দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কার দাবি করেন।
রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, মাশরাফি নামের শিক্ষার্থীর কক্ষটি সিলগালা করা হয়েছিল। প্রশাসনকে না জানিয়ে সে হলে অবস্থান করছিল। এটা জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা মাশরাফিকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশকে ফোন করলে তারা এসে থানায় নিয়ে যায়। রাতে ওই দুই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন না মর্মে থানায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।
মতিহার থানার ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে এসেছিল। এ ঘটনায় কেউ মামলা না করায় তাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।