খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফেনীর ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ৯৩৫ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে উপহারসামগ্রী (ত্রাণ) পৌঁছে দেবেন তারা।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৩টায় এক ট্রাক উপহারসামগ্রী (ত্রাণ) নিয়ে ফেনীর উদ্দেশে রওনা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় বিশিষ্ট একটি দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুসতাইন বিল্লাহ। তিনি ছয় বিশিষ্ট টিমের (দল) একজন।
উপহার (ত্রাণ) হিসেবে প্রত্যেক পরিবার পাবে চাল, ডাল, তেল, সুজি, বিস্কুট, খেজুর, গুড়, চিনি, মুড়ি, চিড়া, পর্যাপ্ত শুকনা জামা-কাপড়, বিশুদ্ধ পানি, মোমবাতি, লাইটার, লবণ। এ ছাড়াও, বিশ প্রকারের বিভিন্ন ওষুধ ও পর্যাপ্ত পরিমাণ মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল প্রথম থেকেই ফেনীতে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে থেকে মুহিব্বুল্লাহ কালবেলাকে বলেন, আমরা আজ ফেনীর তিনটি এলাকায় উপহারসামগ্রী বিতরণ করব। আমরা এখানে যা দেখলাম, তাতে এখানকার মানুষদের রান্না করে খাওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাই আমরা বেশি করে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করেছি। যা প্রায় এক হাজার পরিবারকে দিতে সক্ষম হব বলে আশা করছি। পাশাপাশি যে সকল ক্যাম্পে রান্না করার সুযোগ রয়েছে সেখানে চাল, ডাল, তেলসহ রান্নার প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী প্রদান করেছি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি টিম রওনা হয়েছে, তারা আসলে আমাদের কাজের গতি আরও বাড়বে।
প্রিন্ট মেকিং ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম বুলবুল বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। অনলাইন-অফলাইন মিলে তিন দিনে তারা প্রায় ১৪ লাখ টাকা আমাদের দিয়েছেন। আমাদের দায়িত্ব এখন তাদের আমানত বন্যায় দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমরা বন্যার পরবর্তী সময় নিয়েও ভাবছি, সেই খারাপ সময়েও আমরা কাটিয়ে উঠব আশা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি আজও চলমান থাকবে। যারা ত্রাণ নিয়ে আসবেন বিশেষ করে, শুকনা খাবার, মেডিসিন চাল, ডাল, ওষুধ, স্যানিটারি ন্যাপকিন এগুলোর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করবেন।
উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আলাদা চারটি টিম হয়ে কাজ করছে। একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াতে গণত্রাণ সংগ্রহ করছেন এবং বাকি তিনটি টিম ফেনী, খাগড়াছড়ি ও পাইকগাছার পানিবন্দি মানুষেরের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে।