বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামানের পদত্যাগ করাতে যারা ষড়যন্ত্র করছেন তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্যকে পদত্যাগে বাধ্য করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ষড়যন্ত্র করছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন।
রোববার (২৫ আগস্ট) উপাচার্যের কক্ষের সামনে বিক্ষোভের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে উপাচার্যের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা যে কোনো ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করবেন বলে উপাচার্যকে আশ্বস্ত করেন।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের পদত্যাগ শুরু হয়। তারই সুযোগ নিয়ে বুটেক্সের কিছু স্বার্থান্বেষী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে সমাবেত হয়। শিক্ষার্থীরা বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী শিক্ষকদের ইন্ধনে উপাচার্যের পদত্যাগ করাতে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরও জড়ানো হয়। যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার কোনো অধিকার নেই। আমরা চাই তাদের অনতিবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনা হোক। তা না হলে আমরা আরও কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংসদের সামনে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি চাকরির নীতিমালা পরিবর্তন সংক্রান্ত কমিটি পরিবর্তনের বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুট ল্যাব ও সংসদের সামনে অবস্থান করে। পরবর্তীতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথোপকথন হয়।
পরে কর্মকর্তারা উপাচার্যের সঙ্গে কনফারেন্স কক্ষে একটি আলোচনা সভা করে। পরবর্তীতে উপাচার্যের কক্ষে কিছু শিক্ষক গিয়ে কয়েকটি কারণ দেখিয়ে উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে বলেন। জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং স্লোগান শুরু করেন।
মন্তব্য করুন