সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৪, ১১:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লাগাতার আন্দোলনে সিমেবিতে খোঁজ নেই ভিসি-রেজিস্ট্রারের

সিমেবির ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি : কালবেলা
সিমেবির ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি : কালবেলা

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিমেবি) ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলছেই। গেল এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এক দফা দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে গেলেও গা-ঢাকা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার। তারা কেউই অফিসে আসছেন না। বন্ধ রয়েছে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। আবার মাঝে মধ্যে কল ঢুকলেও রিসিভ হচ্ছে না। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বন্ধ রয়েছে অফিসিয়াল কার্যক্রম। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা বলছেন তাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি নগরের আম্বরখানা পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এর যুগ্মআহ্বায়ক মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক মুহাজিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব নাদীম সীমান্ত, সদস্য আব্দুস সামাদ চৌধুরী ও আহসান উদ্দিন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চোখের ডাক্তার প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন ও ট্রেজারার শাহ আলম ও রেজিস্ট্রার (এডহক) আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। তারা আ.লীগের প্রভাব খাটিয়ে নানা অপকর্ম করেছেন। এজন্য তাদের পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

এর আগে, গত সোমবার ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে (অ্যাডহক) ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পান। এরপর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেন। তার এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবুও ক্ষমতার দাপট ও ভিসির একচ্ছত্র মদদে তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। শুধু তাই নয় আ.লীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তার ভয়ে তটস্থ ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি তার পছন্দের কয়েকজন কর্মকর্তাকে দিয়ে আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেট দিয়েই নানা অপকর্ম করাতেন তিনি। তাকে মদদ দিচ্ছেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে’ 

‘হাতুড়ি দিয়ে পিডাইছে সর্বাঙ্গে, আমার বাবারে শেষ কইর‍্যা দিছে’

গরু চুরি করতে গিয়ে কাটা পড়ল আঙুল, বায়োমেট্রিকে চোর শনাক্ত

বন্যার্তদের পুনর্বাসনে পাশে দাঁড়িয়েছে ‘বেকম্যান’স

মনে হচ্ছে আমাকে দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দিয়েছে : উপদেষ্টা আসিফ

চাঁদপুরে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বেকায়দায় খামারিরা

চেয়ার ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সভা

তিনি ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না

পদত্যাগ করতে রাজি, বললেন মমতা

সাড়ে চার বছরে ৪৭৯ দিন হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১০

‘শ্রমিক কর্মস্থলে আগুন দিতে পারে না, বাইরের অপশক্তিতে এসব হচ্ছে’

১১

কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিনেও চিকিৎসাসেবা বন্ধ

১২

ভুয়া নামে ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ করতেন আ.লীগ নেতা

১৩

মাগুরা ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

১৪

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক / প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন : রিজওয়ানা

১৫

রাজধানীতে বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ দুই জঙ্গি গ্রেপ্তার : ডিএমপি

১৬

আমুসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে মামলা এফআইআরের নির্দেশ

১৭

মার্কিন প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফরে বহুমাত্রিক আলোচনা হবে : পররাষ্ট্র সচিব

১৮

বিসিসি থেকে বেতন নেন সাবেক মেয়র খোকনের বাসার কাজের লোক

১৯

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত পোশাক শ্রমিকদের তালিকা প্রকাশ

২০
X