আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য দিদারুল আলম, উপ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরে আজ তাদের ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে নোবিপ্রবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) বৃষ্টি উপেক্ষা করে নোবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভিসিকে ফ্যাসিস্টদের সহযোগী, দালাল, দুর্নীতিবাজ ও নির্লজ্জ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন এবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
ছাত্র নেতারা বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নতুন করে সাজাবে। ক্যাম্পাসে কোনো দালাল, ফ্যাসিস্টদের উপস্থিতি মেনে নেওয়া হবে না।
শিক্ষার্থীদের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় শনিবার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নোবিপ্রবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবির সমন্বয়করা। এ সময় তারা কেক কাটার আয়োজন করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ফটকে ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রারকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে একটি নোটিশ ব্যানার টাঙিয়ে দেন।
এর আগে গত ৭ আগস্ট উপাচার্যসহ বাকিদের পদত্যাগ চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ে পদত্যাগ না করায় শুক্রবার (৯ আগস্ট) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রারের কক্ষের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদস্বরূপ ভিসির কক্ষের নামফলক থেকে নাম সরিয়ে ফেলেন শিক্ষার্থীরা এবং ১০ আগস্ট বিকেল ৪টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বনী ইয়ামিন বলেন, আজ থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে এই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। তাদের কখনো এই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমাদের ক্যাম্পাসে যত সমস্যা আছে তা আমরা সবাই মিলে সমাধান করব।
নোবিপ্রবি মেধাবী শিক্ষার্থী এবং সমন্বয়ক মেহেদী হাসান কালবেলাকে বলেন, এই ভিসি আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ক্যাম্পাসে ঢুকিয়েছে এবং সে নানা অপরাধ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে মেনে নেব না।
মন্তব্য করুন