সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) উপাচার্য ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সে সঙ্গে উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করার আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. সিদ্দিকুল ইসলাম, ছাত্র প্রতিনিধি মাহমুদুর রহমান, তুহিন হাসান, আজিজুল হক, আবু সাঈদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমান উপাচার্য আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, ছাত্রবিষয়ক পরিচালকসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন। এরই ধারবাহিকতায় ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর তিনি সিকৃবির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর তিনি চরমভাবে দলীয়করণ, আত্মীয়করণ এবং নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম শুরু করেন। তার এমন একচেটিয়া ও চরম অব্যবস্থাপনার অবসান চান তারা। তাই ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে উপাচার্যকে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, বিএনপিপন্থি কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা দেশের চলমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলছে। এমনিতেও আমার উপাচার্য পদে থাকার কোনো ইচ্ছে নেই। মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে জানার চেষ্টা করছি কার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেব।
গত ৬ আগস্ট উপাচার্য জামাল উদ্দিন ভূঞা শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে ১০ দিনের ছুটি নিলে ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. সিদ্দিকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব নেন। ছুটি নেওয়ার পর গত বুধবার মধ্যরাতে উপাচার্য জামাল উদ্দিন ভূঞা জনরোষে পড়ে ‘পালিয়েছেন’ বলেও ক্যাম্পাসে খবর ছড়িয়ে পড়ে। যদিও উপাচার্য তখন পালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।