রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ এসএম আমিরুল ইসলাম ও অধ্যাপক মিটুল চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে যান। তবে ওই সময় অধ্যক্ষ ক্যাম্পাসে ছিলেন না। এক পর্যায়ে ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় এর বিরোধিতা করেছেন বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি প্রথমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরে আসতে নোটিশ দেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দমনে ছাত্রলীগ নেতাদের সহযোগিতা নেন।
কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী কালবেলাকে জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থাকাকালীন নানা দুর্নীতিতে জড়ান। বেশ কয়েকটি কলেজকে জিপিএ ফাইভ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল। এমন অভিযোগে তাকে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং বাঙলা কলেজে পদায়ন করা হয়। এখানে এসেও তিনি বিভিন্ন অনিয়ম করেন।
তারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের দমাতে তিনি দুই বস্তা পাথর কলেজের বিভিন্ন ভবনের ছাদে রেখে দেন। এ ছাড়াও ছিল কাচের বোতল। এগুলো আনা হয়েছিল ছাত্রলীগ নেতাদের জন্য।
তারা আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার সময় বাঙলা কলেজ থেকে দুই বাসভর্তি ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সেখানে যায়। এই বাস ব্যবহারের অনুমতি অধ্যক্ষ তাদের দিয়েছেন। তাছাড়া আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল বন্ধ থাকলেও ছাত্রলীগ নেতাদের অবস্থানের সুবিধার্থে তিনি হোস্টেলগুলো খোলা রেখেছেন। তার শিক্ষার্থীবিরোধী অবস্থান এবং অনিয়মের কারণে শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগ চাচ্ছে।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল করা হলেও বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন