কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন পদত্যাগ করেছেন। রোববার (১১ আগস্ট) তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর আগে শনিবার (১১ আগস্ট) উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডিকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির ভিসির পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমাকে উপাচার্যের পদত্যাগপত্র ইমেইল করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রপতি কাছে পাঠানো উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করেন, আমি আমার ব্যক্তিগত কারণে উপাচার্যের পদ থেকে এই চিঠির মাধ্যমে আজ বিকেলে পদত্যাগ করতে আপনার কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করিলাম। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন অব্যাহত থাকুক এই কামনা করছি। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আমাকে বাধিত করিবেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করি। যোগদানের পর আমি আমার অভিজ্ঞতা, সততা, নৈতিকতা, দক্ষতা ও আইন মেনে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি লিডিং ও মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করি। এ জন্য প্রথমেই আমি উদ্ভাবনে নেতৃত্ব, সমাজের ক্ষমতায়ন, উন্নয়ন, মানব কল্যাণ, সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধকরণ এবং টেকসই প্ল্যানেট গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি ভিশন তৈরি করি। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করি, এবং শিক্ষা, শিক্ষণ ও গবেষণার সংস্কৃতি ও পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে রূপান্তর করার জন্য অনেক নতুন ধরনের স্কিম গ্রহণ করি।
তবে নিয়োগ পাওয়ার পর গত ২ বছর মধ্যে বিতর্কিত নিয়োগ, যারা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছেন তাদের নিয়ে নিজস্ব বলয় গঠন, আইন না মেনে বিভাগীয় প্রধান ও ডিন নিয়োগ, ঢাকার গেস্ট হাউস ব্যক্তিগতভাবে কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগ রয়েছে উপাচার্য আবদুল মঈনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নিয়ম না মেনে গাড়ি ক্রয়, তথ্য গোপন করে উপাচার্য হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত বেতন ও ইনক্রিমেন্ট নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গত ২৮ মার্চ হত্যা মামলার আসামিদের নিয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়। ওই সময় উপাচার্য নিজেই একজন শিক্ষককের ওপর হামলা চালায়। তখন থেকেই শিক্ষক সমিতি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
মন্তব্য করুন