কোটা আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানা ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে দিন দিন। তবে কিছু কিছু জায়গায় ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় তা দূর করতে ক্যাম্পাস খোলার পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) ক্যাম্পাসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী টিএসসি, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এলাকা, কলাভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ভবন, অপরাজেয় বাংলা, মল চত্বর এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিচ্ছন্ন করছেন।
এদিন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু করেন। নির্দিষ্ট স্থান পরিষ্কার শেষে ময়লা ভর্তি পলিব্যাগগুলো ময়লার ডাম্পিং স্টেশনে ফেলে দিয়ে তাদের কাজের পরিসমাপ্তি করেন।
একসঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে আসা মার্কেটিং বিভাগের তিন বন্ধু মোহাম্মদ হাসান, ফাইজা তাসনিম তানহা এবং ফারদিন খান লাজিম বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস পরিষ্কার করার দায়িত্ব আমাদের। গত এক মাস ধরে নানান ঘটনায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল না। যার ফলে ক্যাম্পাসটা অনেকটা নোংরা পরিবেশ হয়েছিল। তাই যখন জানতে পারলাম শিক্ষার্থীরা পরিচ্ছন্নতা অভিযান করবেন তখন আমরাও অংশ নেওয়ার চিন্তা করি। এই কাজে অংশ হতে পেরে ভালোই লাগছে।
রায়হান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের বিষয়টা সকলের জন্য মেসেজ। আমরা সকলে যার যার জায়গা থেকে ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেললে আসলে পরিবেশ ভাল থাকে এবং তা দেখে আমাদের ভাল লাগা অনুভব হয়। প্রতিদিনই তো আসলে আমাদের আসা সম্ভব নয় আসলে। এজন্য সকলেই সচেতন থাকলে সবার জন্যই ভালো।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ানা প্রত্যাশা বলেন, যেহেতু ক্যাম্পাসটা আমাদের সেহেতু পরিষ্কার রাখার দায়িত্বও আমাদের। সে দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা বন্ধুরা মিলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমেছি। শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব নিলে শুধু ক্যাম্পাস নয় দেশটাকেও পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হওয়া সহিংসতা ও সরকার পদত্যাগে সাময়িক সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা উদ্ভবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে দেখা যায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাও এরকম আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন