স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগে বিজয় মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) বিকাল ৩টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কাঁঠাল তলা থেকে বিজয় মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাস, বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে সমন্বয়করা বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ইভান তাহসীব বলেন, আমরা অনেক আত্মত্যাগের পর আমরা বিজয়ী হয়েছি। আমরা আমাদের আবু সাইদ, মুগ্ধকে হারিয়েছে। যখন শেখ হাসিনার পদত্যাগ হয়েছে, সারা দেশের মানুষের মুখে উজ্জ্বল হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিজয় হলেও সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। আমাদের আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে চেষ্টা করছে একটা দল। আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, আমাদের ফেসবুক স্ট্যাটাস যারা স্ক্রিনশট দিয়ে রেখেছিল, আমাদের নানা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল, তাদের জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘হৈহৈ রৈরৈ, ছাত্রলীগ গেলি কই?’ ‘জেগেছে রে জেগেছে রে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিবো রক্ত’-সহ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এর আগে এদিন জোহরের নামাজের পরে সারা দেশে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ইসলামিক ইস্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর আমাদের দেশ জুলুমের হাত থেকে স্বাধীন হয়েছে। এই জালিমের হাত থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি তার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আর এই জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেই এই মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় দেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে জবির বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন।
সভার শুরুতেই জালিমের সকল প্রকার জুলুমের নাগপাশ থেকে দেশ মুক্ত হওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানিয়ে এবং এ মুক্তির আন্দোলনে যারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন তাদের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মন্তব্য করুন