চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ (চবি) দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা ও অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন চবির ৩০টি বিভাগের ৫৮ শিক্ষক।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষে একটি বিবৃতি দিয়ে এ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত বেশ কিছু দিন ধরে দেশে চরম অরাজকতা চলছে।
পাশাপাশি বর্তমানে দমনপীড়নমূলক হয়রানি, মামলা ও গণগ্রেপ্তার জারি রয়েছে। দমনপীড়নের এই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত তিনজন ছাত্র- ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল-মাশনূন, নাট্যকলার সায়হাম মাহমুদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের রমজান শেখকে গ্রেপ্তার বা আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি। এদের ছাড়াও আরও কিছু শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে। এসব ঘটনা অন্ত্যন্ত অযৌক্তিক ও উদ্বেগজনক।
আমরা বিশ্বাস করি, সাম্প্রতিক আন্দোলনে আমাদের এই ছাত্ররা যদি অংশগ্রহণ করেও থাকেন তা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হিসেবেই করেছেন এবং তারা কোনোভাবেই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক হিসেবে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, সব রকম পুলিশি হয়রানির নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
আমরা সাম্প্রতিক ঘটনায় সংঘটিত সব হামলা-মামলা, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, গণগ্রেপ্তার, হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হত্যাকারীকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি ও চবির আটক বা গ্রেপ্তার ছাত্ররাসহ দেশের সব নিরাপরাধ শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।