কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের স্মার্ট কার্ডে বিভাগের নামের স্থানে ‘বেগম’ নাম থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও কার্ড হাতে পাওয়ার আগেই মেয়াদ শেষ হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।
স্মার্ট আইডি কার্ড যাচাই করে দেখা যায়, কারও নামের জায়গায় অনার্স ডিগ্রি, বিভাগের নামের স্থানে বেগম, বাবার নামের স্থানে নিজের নাম, নামের স্পেলিং ভুল ও সেশন ভুলসহ নানান অসংগতি দেখা দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তড়িঘড়ি করে দায়সারাভাবে কাজ করার কারণে এ ধরনের ভুল হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত হল থেকে শিক্ষার্থীদেরকে স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে সম্প্রতি আবেদন করা এক শিক্ষার্থীর আইডি কার্ডের ভ্যালিডিটি দেওয়া আছে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নিয়ম অনুযায়ী এ কার্ডের মেয়াদ শেষ, অথচ এ মাসে তিনি এ কার্ড হাতে পেয়েছেন।
আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর নামের জায়গায় ‘Honors Degree’ লেখা। এ ছাড়াও একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট নাম অনুযায়ী RUBAYAT Al MAHIM জায়গায় RUBAYET AL MAHIM লেখা, ২০১৮-১৯ সেশনের জায়গায় ২০২২-২৩ লেখাসহ নানান অসংগতি খুঁজে পাওয়া গেছে।
এ ছাড়াও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) নামে ফেসবুক পেজে আইডি কার্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এক শিক্ষার্থী পোস্ট করে লিখেছেন, ২০২৪ এর জুলাইয়ে আইডি কার্ড দেওয়া হইতেছে, অথচ ভ্যালিডিটি ২০২৩ এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, আমারটা ৩১ ডিসেম্বর ২০০০ সাল লেখা।
শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাওহীদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, একটি আইডি কার্ডে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় ও মানসম্মান জড়িত। আইডি কার্ড আমরা জাতীয় ও বেসরকারি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি। এ ভুলত্রুটির কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আইডি কার্ডের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন তাদের উচিত শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে তড়িঘড়ি না করে সতর্কতার সঙ্গে করা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে রুবায়াত আল মাহিম বলেন, এ ভুলগুলো কাম্য নয়। আমার নাম এবং সেশন দুটোই ভুল হয়েছে। এ কার্ড ক্যারি করা সম্ভব না। কর্তৃপক্ষের এ বিষয়গুলো যথাযথভাবে খেয়াল রাখছে আমাদের শিক্ষার্থীর জন্য ভোগান্তি কম হবে।
জনসংযোগ দপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, প্রথম স্মার্ট আইডি কার্ড করার কমিটিতে আমি কাজ করেছিলাম। এরপর হলভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন আইডি কার্ড সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
আইডি কার্ডের সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, অনলাইন সিস্টেমের কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সমস্যা সমাধান করে দিব।
মন্তব্য করুন