পুলিশের গুলিতে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে অধ্যাপক মতিউর রহমানকে। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুর রহমান ও সদস্য করা হয়েছে শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিজন কুমার চাকিকে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়া কোটা সংস্কারের আন্দোলনে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) সায়েকুজ্জামান ফারুকীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ ছাড়া মঙ্গলবারের (১৬ জুলাই) সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে তাজহাট থানায় মামলা করেছে তাজহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিভুতি ভূষণ।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ও কোটা আন্দোলনকারী আবু সাঈদ নিহত হন।
নিহতের নাম আবু সাঈদ বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি রংপুরে পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের দিনমজুর মকবুল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন দুপুর ২টার দিকে রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে যায় এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এরই একপর্যায়ে টিয়ারশেলের আঘাতে আবু সাইদ নিহত হন।
মন্তব্য করুন