চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) প্রশাসনের দেওয়া হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন নির্দেশনার প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা চুয়েট ছাত্রলীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর করে। হলে অবস্থান ও ছাত্ররাজনীতি বয়কটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিবৃতিতে দেন তারা।
বিবৃতিতে আন্দোলনকারী জানান, দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় তাদের নিজ নিজ জেলায় গমন করা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনিশ্চিত। এ ছাড়া চুয়েটে সকলপ্রকার ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীভিত্তিক রাজনীতি বর্জন করেছে এবং এসব কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত থাকলে তাকেও বর্জন করা হবে।
চুয়েট কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আদিল রায়হান বলেন, এমন যৌক্তিক আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত এবং নিন্দনীয়। দেশের এ ক্রান্তিকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় বাস কিংবা ক্যাম্পাসে নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, এমতাবস্থায় হল ছাড়ার নির্দেশ দিলে হলে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাবে কোথায়? আর ওদের যদি কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় এর দায়ভার কে নিবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রদত্ত হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্তকে বর্জন করলাম।
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইহতিশামুল হক চৌধুরী বলেন, আন্দোলনকারীরা তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবে। তাদের মতামত জানাবে। এক্ষেত্রে জোরপূর্বক নির্দেশ চাপিয়ে দেওয়া বোকামী।
ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাগরময় আচার্য বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য একপক্ষ ছাত্রলীগকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে এ কাজগুলো করছে। ক্যাম্পাসের জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল ফায়দা লুটতে এ ধরনের কাজ করেছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত একটি লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন