ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলো খালি করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ঢাবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ জন শিক্ষক এ উদ্বেগ জানান। তারা ভিসির সাক্ষাৎ না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ অন্যদের তা জানিয়ে এসেছেন।
ভিসির বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে ঢাবি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক গীতি আরা নাসরীন বলেন, আমরা ভিসির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের জানাল, স্যার নেই। তখন আমরা প্রক্টরসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। হল বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি। আমরা বলেছি, শিক্ষার্থীদের জোর করা যাবে না, তারা থাকতে চাইলে ফ্যাসিলিটি বন্ধ করা যাবে না।
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে ইউজিসি এ নির্দেশনা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
তবে শিক্ষার্থীরা উল্টো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে তারা নোটিশ দেয়। এ সময় ঢাবি ভিসির বাসভবনের ফটক আটকে বিক্ষোভ করতে থাকেন আন্দোলকারীরা।
আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত মানি না, মানবো না; হল আমার বাড়ি-ঘর, হল আমি ছাড়বো না; সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মানি না, মানবো না; বাহ্ ভিসি চমৎকার, স্বৈরাচারের পাহারাদার; ভিসি কী করে, ক্যাম্পাসে রক্ত ঝরে’- স্লোগান চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি কোটা আন্দোলনের জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও সব আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক করছেন কোটা আন্দোলনকারীরা।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলের প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এর আগে আন্দোলনের উত্তাল পরিস্থিতিতে গতকাল রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন