বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৬ এএম
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে বাকৃবিতে মশাল মিছিল

বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল। ছবি : কালবেলা
বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল। ছবি : কালবেলা

শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কোটা আন্দোলনকারীরা মশাল মিছিল করেছে। এ সময় আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থী মরলো কেন, তার জবাব চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ‘রাষ্ট্র তখন কী করে, আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরে’ প্রশ্ন করেও স্লোগান দিতে থাকেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত সোয়া ৯টার দিকে আব্দুল জব্বার মোড় থেকে তারা মশাল মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেআর মার্কেটের দিকে যায় এবং স্লোগানে মুখরিত করে। শেষে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে ৯টা ১০ মিনিটে তারা জামালপুর কমিউটার ট্রেন ছেড়ে দেন, যা অবরোধ করা হয় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে।

এর আগে বিকাল ৩টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে মুক্তমঞ্চে এসে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কেআর মার্কেট হয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রেললাইনে আগেই অবস্থান করেছিল বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। আন্দোলনকারীরা রেললাইন অবরোধ করতে চাইলে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি ছাড়াই রেললাইন থেকে চলে যায়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন আটকে দেন। শিক্ষার্থীরা রেললাইনে বসে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মালিহা মাশরাত বলেন, আজকে যৌক্তিক আন্দোলনে আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরছে, আমার বোনের রক্ত ঝরছে। এ কেমন স্বাধীনতা, এ কেমন বাংলাদেশ। আন্দোলনে রক্ত ঝরায় দেশের পতাকার সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যে ভাই আজকে মাথায় পতাকা বেঁধে আন্দোলন করছে তার মাথায় আঘাত করা হচ্ছে, পিটুনি দেওয়া হচ্ছে। আজকে একদম স্পষ্ট করে বলতে চাই, আর একজনের দেহের রক্ত যদি ঝরে এই বাকৃবি ছাত্র সমাজ, সারা বাংলার ছাত্র সমাজ জিরো টলারেন্স নীতিতে দাঁড়াবে।

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ওয়াহিদা আঞ্জুম রিস্তা বলেন, আমি সব সময় মুক্তিযুদ্ধের পরিবারের সদস্য হিসেবে গর্বিত ছিলাম। কিন্তু আমার এখন লজ্জা লাগতেছে যে আমার জন্য আমার ভাইদের রক্ত ঝরছে। আমি আমার ভাইদের অধিকার, বোনদের অধিকার হরণ করে এই কোটা চাই না। আমি চাই এর একটা বিহিত হোক, কোটা সংস্কার হোক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ঘটনাপ্রবাহ: কোটাবিরোধী আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১০

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১১

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১২

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৩

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৪

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

১৫

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

১৬

পাকিস্তানের জলসীমায় বিপুল তেল-গ্যাস মজুতের সন্ধান

১৭

বিসিবির দুর্নীতির তদন্ত দাবি সাবেকদের

১৮

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

১৯

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

২০
X