চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বাসে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের ৩০-৪০ নেতাকর্মী। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ৯টায় চট্টগ্রামের চাদগাঁও আবাসিক এলাকায় অবস্থানরত সাঙ্গু বাসে এ হামলা চালানো হয়।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে চাদগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে রাত ৯টার দিকে ৩টি শিক্ষার্থী বাস ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু বাস ছাড়ার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে বাসগুলোতে হামলা চালায়। এ সময় ২টি বাস তৎক্ষণাৎ ছেড়ে গেলেও সাঙ্গু বাসকে আটকে দেয় তারা। পরে সে বাসে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় প্রায় ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
চুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শহিদ জানান, আমি যখন বসে ওঠার জন্য আসি, দেখি কয়েকজন লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাসে হামলা চালিয়েছে। ওরা বাসের ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের গায়ে আঘাত করতে থাকে। অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং ৩ জনের মোবাইল নিয়ে যায়।
পুরকৌশল বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ আলম বলেন, আমাদের বাস ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রচুর মারধর করা হয়েছে। আমরা সবাই প্রচণ্ড আতঙ্কে আছি।
চুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪য় বর্ষের আহত শিক্ষার্থী কনিকা আক্তার বলেন, আমরা বাসে ওঠার পর ৩০-৪০টি ছেলে বাস আটকায়। ১০ জনের মতো বাসে ঢুকে প্রথমেই মেয়েদের পেটানো শুরু করে। পরে তারা সবাইকেই আঘাত করে। ৩ জনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, আসলে এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমন নেই। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নিরাপদে থাকা উচিত। শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে গিয়েছে ভেবে হয়ত হামলা করেছে।
এই হামলার পেছনে কারা ছিল জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে। এসময় চাদগাঁও আবাসিকের ছাত্রলীগ নেতা মমিনুলের নাম শুনতে পেয়েছেন বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন