কোটা বৈষম্য নিরসনের একদফা দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জেরে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) উত্তাল হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে মিলিত হয়। পরে তারা সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ সময় সিলেট শহরের লিডিং ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাত্মতা ঘোষণা করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিচ্ছি। যারা আবাসিক হলগুলাতে অবস্থান করছে তাদের ওপর কেউ আঘাত করতে পারবে না এবং তাদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা আমরা দিব।
শাবির কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ গালিফ বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আমার ভাইদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতে কয়েকশত আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। আমরা এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের ভাইদের ওপর কেউ হামলা করবে তা আমরা কোনোভাবে মেনে নিব না। আমাদের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতারা কোটাবিরোধী আন্দোলনে উপস্থিত থাকায় তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করেও কেন ছাত্রলীগের নেতারা এখনো হলে পরে আছে? তারা কীসের লোভে এখনো হলে অবস্থান করছে? তাদের আয়ের উৎস কী? আর যদি আমার ভাইদের ওপর হামলা করা হয় আমরা সহ্য করব না।
মন্তব্য করুন