সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে পথনাটক, গান, কবিতা পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সোমবার (৮ জুলাই) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম (সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা) ও বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করে আন্দোলন করেন। দাবিগুলো হলো ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার, কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধা কোটায় শূন্যপদ পূরণ, জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটার ব্যবহার (এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত), প্রতি জনশুমারির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা পদ্ধতির কবর দে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘আদায় হবে দাবি, পথ দেখাবে রাবি, মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘কোটা-বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় কোটা পদ্ধতির ঠাঁই নাই’, ‘১৮-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘বৈষম্যর বিরুদ্ধে লড়াই করো একসঙ্গে’ ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘আজ সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। নির্বাহী বিভাগের সম্মান রক্ষার্থে ও ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া কথা বাস্তবায়ন করার জন্য হলেও শিক্ষার্থীরা রাজপথে থাকবেন।’
মন্তব্য করুন