সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত টানা ২ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়কটি অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় সড়কের উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল চত্বর থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে কুষ্টিয়া-মহাসড়কে এসে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের উভয় দিকে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়কটি অবরোধ করে রাখেন। এতে সব ধরনের যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ সময় সড়কের উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটারব্যাপী দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। টানা ২ ঘণ্টার অবরোধ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ২, ৪ ও ৬ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কার ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
পরে ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটিকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় উচ্চ আদালত। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
রায়ের পর থেকে আবারও কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেমে পড়েন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে গত ৯ জুন উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে এ রায় স্থগিতের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। সর্বশেষ গত ৪ জুলাই এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ সময় পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর কোটা নিয়ে আপিল করার নির্দেশ দেন আদালত।
মন্তব্য করুন