গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত (প্রত্যয় স্কিম) প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার, পূর্বের পেনশন ব্যবস্থা চালু, স্বতন্ত্র পে স্কেল প্রবর্তন এবং শিক্ষকদের সুপারগ্রেডের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।
সংগঠনটির নেতারা বলছেন, যদি আজ তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়, আগামীকালই তারা ক্লাসে ফিরে যাবেন।
সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির পাশাপাশি বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করেন শিক্ষকরা। তারা প্রত্যয় স্কিম বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ অন্য শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, আমরা প্রত্যয় স্কিম ঘোষণার পর থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছি। আমাদের প্রতি চাপিয়ে দেওয়া এই স্কিমের বাতিল চাই। আমাদের দাবিকৃত ৩ দফা দাবি যদি সরকার মেনে নেয় তাহলে আমরা আগামীকাল থেকেই ক্লাসে ফিরব। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ড. আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, গতকাল অর্থমন্ত্রী বলেছেন আমাদের দাবি নাকি অযৌক্তিক। কিন্তু তিনি নিজে না জেনেই এমন মন্তব্য করেছেন। তার মন্ত্রণালয় যেভাবে তাকে ব্রিফ করেছে সেভাবেই তিনি বলেছেন। এই প্রত্যয় স্কিম বিষয়ে মন্ত্রীর জেনে তারপর মন্তব্য করা উচিত ছিল। আমাদের আন্দোলন কার্যকর পথেই আগাচ্ছে। আমরা আন্দোলন ও আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধানের চেষ্টা চালাব। এই আন্দোলনে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে এবং আমরা বিজয় নিয়েই ক্লাসে ফিরব।
মন্তব্য করুন