সরকার কর্তৃক জারিকৃত বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং সকাল ১০টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামের এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে অবস্থানরত কর্মকর্তারা বলেন, এ প্রজ্ঞাপনে যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি বহাল থাকে, তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষক, কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করবে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ধরনের মেধাশূন্যতা দেখা দেবে এবং এতে করে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তারা বলেন, আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বুটেক্স কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ শরীফুর রহমান বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বৈষম্যবিহীন একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চাই এবং আগামীতে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করবেন তারা যেন কোনোপ্রকার বৈষম্যের শিকার না হন। পেনশন স্কিম জারি থাকলে আগামীতে মেধাবীরা এ সেক্টরে আসতে অনাগ্রহী থাকবে যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিবন্ধকতার শামিল।
বুটেক্স কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে আমাদের প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা ধারণা করছি প্রতিষ্ঠান দিনে দিনে মেধাবী শূন্য হবে। দ্বিতীয়ত, গ্রাইচুটিসহ বিভিন্ন ভাতাসংক্রান্ত বিষয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো বলে মনে করি। সর্বোপরি আমাদের পেনশন ব্যবস্থা কী হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার নয়। এমন অবস্থায় আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প দেখছি না।
তিনি বলেন, আমরা আগামী ৩ ও ৪ জুলাই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করব। একই সঙ্গে এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।
মন্তব্য করুন