সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও আদালত কর্তৃক ২০১৮ সালে জারিকৃত পরিপত্র বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠাল তলার সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের রাস্তা অবরোধ করে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না বলেন, আমাদের দাবি হলো ২০১৮ সালের কোটার পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে এবং তৃতীয় এবং চতুর্থ গ্রেডে কোটা প্রয়োগের আমূল সংস্কার করতে হবে।
এছাড়া একই কোটা বারবার প্রয়োগের বিষয়টি বাতিল করতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর যে দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ কর্মহীন, সেখানে এই ধরনের কোটা প্রথা রীতিমতো বৈষম্য।
এ সময় আন্দোলনকারীরা ৪ দফা দাবি উল্লেখ করেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মন্তব্য করুন