চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলে দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় চার শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী। কোনো প্রকার নোটিশ না দিয়েই একটানা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখায় হল প্রশাসনকে দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
জানা গেছে, সকাল ১০টা থেকেই বিদ্যুৎ নেই হলে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। পড়াশোনা, গোসল ও খাবার পানি সংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। অনেকেরই সামনে ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় পড়াশোনাতেও ব্যাঘাত ঘটছে।
আলাওল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ সময় ধরেই হলে বিদ্যুৎ নেই। ফলে পানির সংকট তৈরি হয়েছে এবং আমিসহ অনেক শিক্ষার্থীই দুপুরে গোসল করতে পারেনি। কোনো কিছু না জানিয়েই কর্তৃপক্ষ দীর্ঘক্ষণ কারেন্ট বন্ধ রেখেছে। এ ছাড়া সামনে ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষাও রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে পড়াশোনাও করতে পারছি না।
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নীরব বলেন, বিদ্যুৎ না থাকা অস্বাভাবিক নয়, তবে এটা একটা ঘোষণা দিয়ে জানাতে হয়। এতক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় সবকিছুই ওলটপালট হয়ে গেছে। না পড়াশোনা হচ্ছে, না গোসল।
লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের নিলয় বলেন, গতকাল রাতে একটি গাছ বিদ্যুৎ লাইনের ওপর পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরাও ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোল্লা খালেদ হোসেন বলেন, আন্ডারলাইনে তারের একটি ফল্টের কারণে বিদ্যুৎ নেই।তবে এটা সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি। সমস্যাটি মাটির নিচে হওয়ার কারণে খুঁজে পেতে দেরি হয়েছে। না হলে দুই ঘণ্টা আগেই বিদ্যুৎ চলে আসতো। আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম।
নোটিশ ছাড়া কেনো বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এ বিষয়ে আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার দত্ত কালবেলাকে বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আমি সকালে পর্যবেক্ষণের জন্য হলে গিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল বিভাগ এটা নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ২ ঘণ্টার মধ্যে কাজ হয়ে যাবে বললেও এখনো শেষ হয়নি কাজ। তবে কিছুক্ষণ আগে আমি প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, অল্প সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
মন্তব্য করুন