সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে টেলিটকের কারিগরি সহায়তায় ডিজিটাল অনলাইন লটারির মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বোতাম টিপে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এই ফল প্রকাশ করেন।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম হাবিবুর রহমানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, টেলিটক ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফলাফল ওয়েবসাইট এবং টেলিটক মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এসএসএসের মাধ্যমে জানার জন্য মোবাইলে GSA লিখে স্পেস দিয়ে Result লিখে স্পেস দিয়ে User ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে।
জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৬৫৮টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয় গত ২৪ অক্টোবর। এই প্রক্রিয়া চলমান ছিল ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
এ প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী ৩ হাজার ৮৪৬ টি বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৯টি শূন্য আসনের চাহিদা পাওয়া যায়। শূন্য আসনের বিপরীতে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২ টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
প্রসঙ্গত, লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা, পোষ্য কোটা, অক্ষম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সকল কোটা বিবেচনা করা হয়েছে।
শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্রছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়।
মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উক্ত ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী নির্বাচন কার্যক্রমে শতভাগ সঠিকতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন