নানা চমকের কারণে বারবার আলোচনায় আসেন ‘সাদেক এগ্রো’ এবং এর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন। তবে এবার গরুর দাম, আকার বা পুরস্কার নয় বরং আলোচনায় এসছে তার গরু চোরাকারবার। ‘সাদেক এগ্রো’র আড়ালে বিশাল এক গরু চোরাচালান সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন ইমরান হোসাইন।
ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাইপথে গরু আনেন মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন। শুধু তাই নয়, দেশি গরু-ছাগল বিদেশি বলে বিক্রি করারও প্রমাণ পাওয়া গেছে সাদেক এগ্রোর বিরুদ্ধে।
কালবেলার অনুসন্ধানে ধরা পড়েছে, সম্প্রতি ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই ছাগলটি দেশীয় জাতের। ওই ছাগলটি যশোরের একটি বাজার থেকে মাস দুয়েক আগে ১ লাখ টাকায় আনে সাদেক এগ্রো। তবে ঈদ সামনে রেখে সেটি বিদেশি ব্রিটল জাতের ছাগল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করেন ইমরান হোসাইন।
এরপর ছাগলটির দাম নির্ধারণ করা হয় ১৫ লাখ টাকা, যেটি ক্রয় করেন আলোচিত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউরপুত্র মুশফিকুর রহমান ইফাত। সাদেক এগ্রোর ইনচার্জ মো. শরীফও যশোর থেকে ছাগল আনার এ তথ্য স্বীকার করেছেন।
ইমরান হোসাইনের প্রতারণার বিষয়ে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ হাবিব মোল্লা কালবেলাকে বলেন, ‘ইমরান একজন মাফিয়া। তিনি কারও কথা শোনেন না। তিনি ডেইরি ফারমার না, ব্রোকার। গরু বেচাকেনা করেন। ঈদের আগে গরু কিনে বিক্রি করেন। তিনি খামারিদের ক্ষতি করছেন।’
মন্তব্য করুন