রাজধানীর গুলশানে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে মনিরুল নামে পুলিশের আরেক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় জাপান দূতাবাসের এক ড্রাইভার গুলিবিদ্ধ ও পথচারী আহত হয়েছেন।
শনিবার (৮ জুন) রাত ১২টার দিকে বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কাউসার আলী নামে এক পুলিশ সদস্য তাকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় মনিরুলের ভাই বাদী হয়ে রোববার গুলশান থানায় মামলা করেন। যে মামলায় কাউসারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, গতরাতের ঘটনায় নিহতের ভাই মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত আদালত কোনো নির্দেশ দেননি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। গত ৫-৬ দিন ধরে বেশ চুপচাপ ছিলেন, কারও সঙ্গে কথা বলতেন না।
গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, তাদের প্রাথমিকভাবে ধারণা; মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে কনস্টেবল কাউসার সহকর্মী কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেছে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।
কে এই কাউসার আলী?
কাউসারের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের দাড়ের পাড়া এলাকায়। তার পাতার নাম মো. হায়েত আলী, মাতা মোছা. মাবিয়া খাতুন। বর্তমানে তিনি ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গত রাতে ফিলিস্তিন দূতাবাস লাগোয়া উত্তর পাশের গার্ড রুমে তার ডিউটি ছিল।
মন্তব্য করুন