কাউসার আলী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। পাঁচ-ছয় দিন থেকে খুব চুপচাপ ছিলেন। অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলছিলেন না বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশার আরিফুল ইসলাম সরকার।
শনিবার (৮ জুন) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কাউসার আলী প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশ সদস্য কাউসার আলীকে গুলশান থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। গত ৫-৬ দিন ধরে বেশ চুপচাপ ছিলেন, কারো সঙ্গে কথা বলতেন না।
প্রসঙ্গত, বারিধারায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে মনিরুল নামে এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যা করেছে পুলিশেরই আরক সদস্য। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফিলিস্তিন দূতাবাসের অদূরে ফুটপাত পেরিয়ে সড়কের পাশে কনস্টেবল মনিরুলের গুলিবিদ্ধ দেহ উপুর হয়ে পড়ে আছে। তখনও তার ব্যবহৃত রাইফেলটি তার পিঠের উপর পড়েছিল। পুরো এলাকা পুলিশের সোয়াট টিম ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে যান।
মনিরুল পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গতরাতে ফিলিস্তিন দূতাবাস লাগোয়া উত্তর পাশের গার্ড রুমে তার ডিউটি ছিল। একই সময়ে ডিউটিরত ছিলেন কাউসার আহমেদ।
মন্তব্য করুন