ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় জড়িত সিয়াম হোসেনকে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) তথ্যে নেপালে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী এই ব্যক্তি কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটে আনারকে খুনের পর নেপালে আত্মগোপন করে। এরপরই ঢাকার পুলিশ তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে কাঠমান্ডু এনসিবিতে তাকে আটকের জন্য অনুরোধ জানিয়ে মেইল পাঠায়।
পুলিশ সূত্র বলছে, সিয়ামকে বাংলাদেশে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে কাঠমান্ডু পুলিশ। এরইমধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দল নেপাল ছুটে গেছে। তবে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকায় সিয়ামকে ফেরাতে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
অবশ্য ডিবির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেছেন, নেপাল পুলিশ আসামি সিয়ামকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চাচ্ছে। বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকলেও আটক সিয়াম বাংলাদেশি হওয়ায় এবং বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে নেপাল প্রবেশ করায় ইমিগ্রেশন আইনে তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ওই আসামির পাসপোর্ট নম্বর এ ১৪৩৮৫৬১৭।
এদিকে এমপি আনার কলকাতায় খুন হওয়ায় ওই ঘটনায় সেখানেও মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কলকাতা সিআইডির একটি বিশেষ দলও সিয়ামের আটকের খবরে নেপালে রয়েছে। সূত্র বলছে, নেপালের সঙ্গে ভারতের বন্দিবিনিময় চুক্তি রয়েছে। এজন্য ওই আসামিকে কলকাতা পুলিশও নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে।
ঢাকার ডিবির এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেছেন, আনারকে খুনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার পর সিয়াম প্রথমে নেপাল যায়। সেখান থেকে কলকাতা প্রবেশ করে। গত ১৩ মে সঞ্জিভা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করার পর সে ফের নেপালে চলে যায়। এই সিয়াম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড পলাতক আক্তারুজ্জামান শাহীনের সহকারী।
প্রসঙ্গ, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারত যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পর দিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজিম।
মন্তব্য করুন